কিভাবে সস্তা এয়ার টিকেট খুঁজে বের করবেন?

দেশের বাইরে ভ্রমণে যাবার জন্য ভিসার পর সবচেয়ে জরুরি জিনিষ হল এটি। একটা ট্রিপের ৩০-৪০% খরচ ই হয় এই এয়ার ফেয়ার। আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে টিকেট কাটার ক্ষেত্রে। একটু বুদ্ধি করে যদি টিকেট কাটেন তবে আপনি অনেক টাকা বাচাতে পারবেন। আমি কিছু ট্রিক্স ইউজ করি সস্তা ফ্লাইট খুঁজতে, সেগুলো নিয়েই আজকে আলোচনা করবো।
Contents
অগ্রিম টিকেট কেটে রাখা
এয়ার টিকেটের দাম নির্ভর করে কতদিন আগে কাটছেন তার উপর। যাত্রার এক সপ্তাহ আগে কাটা টিকেটের দাম , যাত্রার একমাস আগে কাটা টিকেটের থেকে বেশি হবে। তাই যাত্রার কমকরে ২০-৩০ দিন আগে কাটলে কম দামে পাবেন ধারনা করা যায়। তবে সবসময় এমনটা হয় না, পিক সিজনে দাম হরহামেশা বেশি থাকে। ডিসেম্বর এর শেষ সপ্তাহের জনপ্রিয় কোন টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের টিকেটের দাম বেশি হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের চেয়ে। এয়ার টিকেটের দাম টিকেটের চাহিদার উপর কমবেশি হয়। যদি যাত্রার আগে খুব কম সময় থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে টিকেট এজেন্সি কম দামে টিকেট দিতে পারে।
পাশের দেশ থেকে ফ্লাই করা
ঢাকা এয়ারপোর্টের ট্যাক্স অনেক বেশি হওয়াতে ঢাকা থেকে সব রুটের টিকেটের দাম বেশি। যেমন ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া টিকেট ১০-১২ হাজার পরবে, যেখানে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা ৪-৫ হাজার এ পাবেন। অর্থাৎ সহজে বলা যায় ঢাকা থেকে যেসব ফ্লাইট ছেড়ে যায় সেগুলোর ভাড়া তুলনামূলক বেশি, আর যেসব ফ্লাইট ঢাকা তে আসে সেসবের ভাড়া কম। অনেক রুটের টিকেটের দাম ইন্ডিয়া থেকে সস্তা, আপনি ইন্ডিয়া থেকে ব্যাংকক গেলেন আর ব্যাংকক থেকে ঢাকা এভাবে করলে অনেক টাকা বাচাতে পারবেন। পাসপোর্টে একটা ইন্ডিয়ার ভিসা অনেক কাজে দেয়। অনেকসময় দেখা যায় কোন দেশ থেকে ঢাকার ফ্লাইটের খরচ অনেক বেশি যেখানে ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের দাম কম। এমন ক্ষেত্রে সরাসরি ঢাকা না গিয়ে ইন্ডিয়া গিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশ।
সবসময় সিক্রেট উইন্ডো তে সার্চ করা
আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজার এ প্রাইভেট উইন্ডো/ইনকগনিটো মোড পাবেন। এভাবে সার্চ করা বুদ্ধিমানের কাজ , কারণ আপনি কি সার্চ করছেন কি খুঁজছেন এসব আপনার ব্রাউজার এবং ওয়েবসাইট সেভ করে রাখে। আপনি প্রথম বার সার্চ করে হয়ত কম দামে পেলেন , কিন্তু যখন কিনতে যাবেন তখন দেখবেন অনেক বেশি দাম দেখাচ্ছে। তাই সিক্রেট ভাবে সার্চ করলে এইটা এড়াতে পারবেন।
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লাই করা
অনেক সময় সপ্তাহের শুরুতে আর শেষে ফ্লাইটের দাম বেশি থাকে। বেশিরভাগ মানুষ উইকেন্ড কে মাথায় রেখে টিকেট কাটে তাই এই সময়ে টিকেটের দাম বেশি থাকা একটু স্বাভাবিক। অনেক এক্সপার্টের মতে মঙ্গলবার এয়ার টিকেটের দাম কম থাকে। তবে সবসময় এমন হবে তার কারণ নাই। এছাড়া পাবলিক হলিডের আগে-পরে টিকেট না কাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা
অনেক জনপ্রিয় ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন আছে , সেগুলো আপনার ব্যবহার করা উচিৎ। এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো বিভিন্ন বুকিং সাইট থেকে আপনার গন্তব্যের জন্য সবচেয়ে সস্তা ,বেস্ট ফ্লাইট দেখাবে। অনেক সময় এক সার্চ ইঞ্জিন থেকে আরেক সার্চ ইঞ্জিনে অনেক কমে ফ্লাইট পাবেন। আমি একবার একটা সার্চ ইঞ্জিন এ ঢাকা থেকে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে কমে যে ফ্লাইট পেয়েছিলাম সেটা ছিল ২২ হাজার এর , আরেকটা সার্চ ইঞ্জিন এ একই রুটে একই তারিখে ১৫ হাজার এ পেয়েছি। তাই সবসময় উচিৎ কয়েকটা সার্চ ইঞ্জিন এ খুঁজে দেখা। আর একটা সার্চ ইঞ্জিনে সব এয়ারলাইনের ফ্লাইট দেখায় না।
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলো হলঃ
এগুলো ছাড়া আরও অনেক ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আমি সাধারণত প্রথম দুইটা বেশি ব্যবহার করি। সার্চ ইঞ্জিন গুলো তে অনেক ফিচার আছে যেগুলো আপনাকে সস্তা ফ্লাইট খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। নীচে কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছি।
মাসের সবচেয়ে সস্তা ফ্লাইট খুঁজে বের করা
ফিক্সড ডেট এ ফ্লাইট সবসময় কমে পাওয়া যায় না। এখন আপনার যদি ভ্রমণ এর কোন ফিক্সড ডেট না থাকে তবে আপনার এটি কাজে দিবে। ধরা যাক আপনি সেপ্টেম্বর এ ঘুরতে যেতে চান তাহলে স্কাই স্ক্যানার এ আপনার রুট সিলেক্ট করে সেপ্টেম্বর এর নির্দিষ্ট কোন দিন সিলেক্ট না করে পুরা সেপ্টেম্বর মাস সিলেক্ট করে সার্চ দিবেন। তাহলে আপনি পুরা মাসের ফেয়ার দেখতে পাবেন কোন তারিখে কত ভাড়া। আবার যদি আপনার যাবার মাসের ও কোন ঠিক না থাকে বছরের যেকোনো সময় গেলেই চলে সেক্ষেত্রে বছরের কোন মাসে ফেয়ার সবচেয়ে কম সেটিও দেখতে পাবেন। এভাবে আপনি বছরের সবচেয়ে সস্তা মাসের সস্তা দিনে ফ্লাই করলে বেস্ট ডিল পাবেন।
নির্দিষ্ট এয়ারপোর্ট সিলেক্ট না করে পুরা দেশ ধরে সার্চ দেয়া
উন্নত দেশগুলোতে একাধিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। অনেক সময় এমন হয় যে আপনি যেখানে বা যে এয়ারপোর্টে যেতে চান তার খুব কাছের এয়ারপোর্টে কমে টিকেট পাচ্ছেন। তাই ফিক্সড এয়ারপোর্ট ধরে সার্চ না দিয়ে পুরা দেশ ধরে সার্চ দিলে আপনি সস্তা ফ্লাইট খুঁজে বের করতে পারবেন। ধরা যাক আপনি ইন্ডিয়া যেতে চান একটা রাউন্ড ট্রিপে , আপনার মুম্বাই , কলকাতা ঘোরার ইচ্ছা আছে। আপনি যদি মুম্বাই লিখে সার্চ দেন তাহলে দেখা গেল আপনার টিকেটের দাম অনেক পরবে, কলকাতার ফেয়ার মুম্বাই এর অর্ধেক। সেক্ষেত্রে আপনার মুম্বাই থেকে ট্রিপ শুরু না করে কলকাতা থেকে শুরু করে মুম্বাই এ শেষ করলে খরচ কিছুটা হলেও কম পড়বে।
মাল্টি-সিটি অপশন ব্যবহার করা
আমরা একসাথে একাধিক দেশ ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় ওয়ান ওয়ে সার্চ দেই। এভাবে আলাদা আলাদা টিকেট কেটে খরচ অনেক সময় বেশি পড়তে পারে। আবার অনেক সময় আলাদা আলাদা কাটলেই সস্তা পড়ে। তাই আপনার সব ভাবেই খুঁজে দেখা উচিৎ। যেমন মালদ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কা আর শ্রীলঙ্কা থেকে ঢাকা যদি আলাদা আলাদা টিকেট কাটি তবে অনেক বেশি দাম দেখাবে। আবার যদি মাল্টি-সিটি অপশন ব্যবহার করে মালদ্বীপ- শ্রীলঙ্কা- ঢাকা এভাবে কাটি তবে প্রায় অর্ধেক দামে টিকেট পাওয়া যাবে।
অল্টারনেট রুট খুঁজে দেখা
যারা একসাথে ২-৩ টা দেশ ঘুরতে চায় তাদের খেতে এটি কাজে দেয়। আপনাকে খুঁজে দেখতে হবে কোন দেশ থেকে কোন দেশ গেলে টিকেট সস্তা পড়বে। ধরা যাক আপনি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড একসাথে ঘুরতে যাবেন। এখন আন্দাজে একদিক ধরে ঢুকে আরেকদিক দিয়ে বেরিয়ে গেলেই হল না। আপনি হয়ত না যেনে ঢাকা- সিঙ্গাপুর- মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড- ঢাকা এভাবে কাটলেন। কিন্তু অনেক সময় এমন হতে পারে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড যাবার টিকেটের দাম কম আর মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা, তখন আপনাকে থাইল্যান্ড প্রথমে গিয়ে তারপর সিঙ্গাপুর তারপর মালয়েশিয়া ঘুরতে হবে। এভাবে ডিফারেন্ট রুট ধরে ধুরে সার্চ দিয়ে আপনাকে সস্তা রুট বের করতে হবে।
একসাথে একাধিক দেশ ভ্রমণ করা
আপনি হয়তো বালি ঘুরতে যেতে চান। কিন্তু ঢাকা থেকে বালির সরাসরি কোন ফ্লাইট নাই, হয় মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে স্টপেজ পড়বে। আপনি এখন যদি বালির সাথে সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়া ঘুরতে চান তবে আপনার একই প্লেন ভাড়া লাগবে অনেক ক্ষেত্রে কমেও পেতে পারেন। আমি যখন বালি যাই তখন বালির রিটার্ন টিকেট ৩২ হাজার এর নীচে পাইনি। আমি বালি আর মালয়েশিয়া একসাথে ঘুরেছি । আমার টিকেটের দাম ২৮ হাজার পরেছিল। আমার যাবার সময় সিঙ্গাপুর এ স্টপেজ ছিল , অর্থাৎ আমি চাইলে এই একই ভাড়ায় তিনটা দেশ ঘুরতে পারতাম। তেমনি মালদ্বীপের ক্ষেত্রেও হয় শ্রীলঙ্কা না হয় সিঙ্গাপুর এ স্টপেজ হয়। তাই আপনার গন্তব্যের পথে যদি সরাসরি কোন ফ্লাইট না থাকে , তৃতীয় কোন দেশে স্টপেজ পড়ে তবে আপনি একই প্লেন ফেয়ারে সেই দেশটাও ঘুরতে পারবেন।
বাজেট এয়ারলাইনে ভ্রমণ করা
ফুল সার্ভিস এয়ারলাইন থেকে বাজেট এয়ারলাইনে খরচ অনেক কম। তবে বাজেট মানে আপনাকে একটু স্যাক্রিফাইস করতে হবে। অনেক সময় ফ্লাইট দিলে হতে পারে। বাজেট এয়ারলাইন গুলোতে শুধু হ্যান্ড ব্যাগ এলাও করে যেটা ৭-১০ কেজি হয়। আপনার যদি অতিরিক্ত লাগেজ থাকে তার জন্য আলাদা পেমেন্ট করতে হবে। ফ্লাইটের ভিতর খাবার, পানি, পছন্দের সিট, বড় লেগ-রুম বা পা রাখার জায়গা সব কিছুর জন্য আলাদা পে করতে হবে। এসব বাদ দিয়েই বাজেট এয়ারলাইন গুলো তাদের খরচ কমায়।
আপনি যদি ব্যাকপ্যাকার হোন তবে আপনার কোন চিন্তা নাই। আপনি অতিরিক্ত এই সার্ভিস গুলো না নিয়ে খুব কমে যেতে পারবেন আপনার গন্তব্যে। তবে অনেক সময় ফুল সার্ভিস এয়ারলাইন আর বাজেট এয়ারে খরচ একই পাওয়া যায়, তাই আপনি টিকেট কাটার আগে ফুল সার্ভিস এয়ারলাইনে কম খরচে পাওয়া যায় কিনা দেখে নিবেন। যেমন আমি একবার ডোমেস্টিক একটা বাজেট এয়ারে কোন লাগেজ ছাড়া টিকেট পেয়েছিলাম ২০০০ টাকায়, আমার সাথে লাগেজ ছিল অতিরিক্ত লাগেজ সহ টিকেটের দাম ২৪০০ টাকা মত আসছিল। সেখানে একটা ফুল-সার্ভিস এয়ারলাইনে লাগেজ স্ন্যাক্স সব সহ ২২০০ টাকায় পেয়ে গেছি। তাই বাজেট এয়ারলাইন সবসময় সস্তা বলা যাবে না। যারা লোকাল বাস আর ভলভো এসি গাড়ি তে ভ্রমণ করেছেন তারা বুঝতে সহজ হবে, বাজেট এয়ার হল আকাশপথের লোকাল বাস, আর ফুল সার্ভিস হল ভলভো এসি বাস।

এয়ার এশিয়া
উন্নত দেশগুলোতে অনেক সময় বাস ট্রেনের চেয়ে প্লেনের ভাড়া কম হয়। যেমন আমার কথাই বলি লঙ্কাউই থেকে কুয়ালালামপুর বাসে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা আর ভাড়া পড়বে ১৬০০ টাকা মত, যেখানে প্লেনে ১.৫ ঘণ্টা আর ভাড়া ১৮০০ মত পড়বে যদি একটু আগে কাটা যায়। অনেক সময় অফারে আরও কমে পাওয়া যায়।
আমাদের এশিয়া তে পপুলার হল এয়ার এশিয়া, স্কুট, স্পাইস জেট এসব । আপনি বিভিন্ন দেশের বাজেট এয়ারলাইনের লিস্ট উইকিপিডিয়ার এই লিঙ্ক https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_low-cost_airlines থেকে পাবেন। অনেক সময় এইগুলো ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিনে দেখায় না। তাই এয়ারলাইনের অফিসিয়াল সাইতে গিয়ে সার্চ দিয়ে আপনার গন্তব্যের কম খরচের ফ্লাইট পেতে পারেন।
নিজের টিকেট নিজে কাটা
নিজের টিকেট নিজে কাটলে টিকেটের দাম কম পড়ে। তবে বেশিরভাগ মানুষের ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড না থাকায় তাদের তৃতীয় পক্ষ বা কোন এজেন্টের শরণাপন্ন হতে হয়। তবে এখন আপনি খুব সহজে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রিপেইড ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নিতে পারবেন। অন্য কেউ আপনার টিকেট কেটে দিলে তারা একটা সার্ভিস চার্জ নিবে। আপনার যদি নিজের কার্ড থাকে তবে আপনি উপরের সব ট্রিক্স খাটিয়ে নিজেই সস্তায় টিকেট কাটতে পারবেন। নিজে সস্তা টিকেট কাটতে হলে আপনার অনেক সময় দিতে হবে সস্তা ফ্লাইট খুঁজতে।
ট্র্যাভেল এজেন্টরা আপনার শত্রু নয়
সবার কমন ধারনা হল ট্র্যাভেল এজেন্ট মানেই টাকার ভুক্ষা আর সবসময় কাস্টোমার কে লুটে খাবার চিন্তায় থাকে, কিন্তু সত্যি বলতে সব সময় তারা এমন না। অনেক ট্র্যাভেল এজেন্টের সাথে বিভিন্ন এয়ারলাইনের চুক্তি থাকে, অর্থাৎ আপনি অনলাইনে যে দামে টিকেট পাচ্ছেন অনেক সময় তারা সে দামের অনেক কমে টিকেট দিতে পারে, যা আপনি অনলাইনে কোথাও পাবেন না। এর মানে এই নয় যে আপনি সরাসরি তাদের কাছে টিকেটের জন্য চলে যাবেন। আপনার রুট আর ভ্রমণের দিনক্ষণ ঠিক করে উপরের টিপস গুলো অনুসরণ করে সস্তা রুট, ডেট আর ডেস্টিনেশনের সম্ভাব্য একটা ধারনা নিয়ে যাবেন। এটা জানা থাকলে আপনার ধারনা থাকবে কতটা সস্তা পাওয়া সম্ভব, আপনি যদি এটা জানেন তবে কেও আপনাকে সহজে ঠকাতে পারবে না। আপনি যদি দেখেন অনলাইনে আপনার পাওয়া দামের চেয়ে কমে ট্র্যাভেল এজেন্টের কাছে টিকেট পাচ্ছেন তবে কেটে ফেলবেন। ট্র্যাভেল এজেন্ট শুধু আপনাকে সস্তায় টিকেট দিবে এমন না, তাদের থেকে নিলে অনেক সময় বেটার সিকিউরিটি পাবেন, যদি ফ্লাইট নিয়ে কোন ঝামেলা হয় তবে সেটার সাথে ডিল করবে সে, আপনার নিজে থেকে ডিল করতে হবে না। এভাবে অনেকটা চিন্তা ছাড়া থাকতে পারবেন।
পুরো আর্টিকেল টি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা , ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। আপনার কাছে সস্তা ফ্লাইট খোঁজার আরও কোন টিপস এবং ট্রিক্স থাকলে কমেন্টে জানাবেন। আর আর্টিকেল টি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না, যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার ভ্রমনপিপাসু বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ !